করোনা অতিমারি থেকে কবে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে, বলা যাচ্ছে না। হয়তো স্বল্পতর প্রকোপে করোনা দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গী হয়ে থাকবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অনলাইন ক্লাস চালুর তাগিদ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ।
করোনার প্রকোপে এক রকম স্থবির হয়ে আছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই ধাক্কা সামলে উঠতে কী করণীয়? লিখেছেন তিনজন শিক্ষক।
কোভিড-১৯ এবং নতুন শিক্ষাব্যবস্থা
রিদওয়ানুল হক
১৮ মে ২০২০, ২১:২৩
আপডেট: ১৮ মে ২০২০, ২১:২৫
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত ২৩ মার্চ থেকে বিশ্বের আনুমানিক ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য হয়েছে। দেশব্যাপী সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে। অন্যদিকে আরও ২৮৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থী স্থানীয় বিভাগের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কারিগরি, মাদ্রাসাসহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও তিন-চার মাস সংসদ টিভিতে ক্লাস সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টিভি অনেকের নাগালের বাইরে, ক্লাসগুলো নিয়ে অতৃপ্তি আছে। তবু করোনাবন্ধ বাড়লে শিক্ষা সচল রাখার এটাই বড় উপায়। এমনিতেই সিলেবাস শেষ করা কঠিন। পরীক্ষাও থমকে আছে।
শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনেকে এই ক্লাসগুলোকে দেখছেন মন্দের ভালো হিসেবে।
শিক্ষা প্রশাসন ২৯ মার্চ থেকে মূলধারার মাধ্যমিক এবং ৭ এপ্রিল থেকে প্রাথমিক স্তরের সব বিষয়ে ক্লাস রেকর্ড করে সংসদ টিভিতে দেখানো শুরু করেছিল। এখন আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা যুক্ত হয়েছে। আলিয়া ধারার মাদ্রাসার ক্লাস যুক্ত হতে যাচ্ছে। দেশে এখন প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৩৪ লাখের মতো শিক্ষার্থী আছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (প্রশিক্ষণ) প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দিয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৫০০টি ক্লাস রেকর্ড করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেগুলোর ২০০-এর বেশি প্রচারিত হয়েছে। আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসি উল্লাহ বলেন, এ পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ের ক্লাস হয়েছে এক শর মতো।